গাজীপুরের আলোচিত সম্রাট হত্যার রহস্য উদঘাটন করলো পিবিআই,গ্রেফতার ৩
শেখ রাজীব হাসান,গাজীপুর:
গাজীপুরের পিবিআই কর্মকর্তারা টঙ্গীর দত্তপাড়া থেকে টঙ্গীর বহুল আলোচিত সাইফুল ইসলাম সম্রাট হত্যা মামলার আসামী ১। আসাদুজ্জামান মানিক ২। নূর আলম ৩। মো: রনিকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক হাফিজুর রহমান পিপিএম বলেন আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, এজাহারনামীয় আসামী মোঃ মোফাজ্জল, আসিফ মিয়া, হুমায়ুন, কাইয়ুম সহ অন্যান্য আসামীরা ও ভিকটিম সাইফুল ইসলাম সম্রাট একই এলাকায় বসবাস করতো ও মাদক সেবন করতো। আসামী মোফাজ্জল, আসিফ মিয়া, মোঃ মোফাজ্জলের বোন জামাই গেদা আনোয়ার মাদক বিক্রয় করতো। ভিকটিম সম্রাট মাঝে মধ্যে মোঃ মোফাজ্জল, আসিফ মিয়া ও গেদা আনোয়ারের নিকট হতে জোর পূর্বক মাদক বিক্রয়ের টাকা নিত। এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে ভিকটিম সম্রাট ঘটনার কয়েকমাস পূর্বে এজাহারনামীয় আসামী মোঃ মোফাজ্জল এর পায়ের রগ ও আসামী মোঃ মোফাজ্জল এর বোন জামাই গেদা আনোয়ারের হাতের কব্জি কেটে দেয়। এই ঘটনার জের ধরে গত ৫ আগস্ট ২০১৬ইং তারিখ রাত ০৯.৪৫ ঘটিকার সময় আসামী মোঃ মোফাজ্জল, গ্রেফতারকৃত আসামী আসাদুজ্জামান মানিকের টঙ্গী দত্তপাড়া আলম মার্কেট¯’ বাসায় বসে পরিকল্পনা করে ভিকটিম সম্রাটকে সুকৌশলে মদ খাওয়ার কথা বলে ডেকে এনে গ্রেফতারকৃত আসামী আসাদুজ্জামান মানিক সহ ঘটনায় জড়িত আসামীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারীভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে বাম হাতের কব্জি প্রায় বিচ্ছিন্ন কাটা রক্তাক্ত জখম,দুই পায়ের রগকাটা জখম,পিঠে পাঁচ স্থানে কাটা রক্তাক্ত জখম, ডান পায়ের হাঁটুতে কাটা, বাম পায়ের হাঁটুতে কাঁটা, বাম পায়ের গোড়ালিতে কাটা রক্তাক্ত জখম সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে ঘটনাস্থলে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
এ বিষয়ে পিবিআই পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মামলাটি জেলা পুলিশ ও পরবর্তীতে মেট্টোপলিটন পুলিশ দীর্ঘ সময় তদন্ত করে বেশ কিছু অভিযুক্ত আসামীদের নাম ঠিকানা না পাওয়ায় মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে অভিযোগপত্র দাখিল করলে বিজ্ঞ আদালত স্বপ্রণোধিত হয়ে মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করে। পিবিআই প্রায় দেড় বৎসর তদন্ত করে মামলার মূল আসামী ও পরিকল্পনাকারী আসাদুজ্জামান মানিককে মৌলভী বাজার শ্রীমঙ্গল থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে হত্যা কান্ডে জড়িত আছে মর্মে স্বীকার করে এবং অন্যান্য আসামীদের সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে। তার তথ্যের ভিত্তিতে মামলার ঘটনায় জড়িত আসামীদেরকে গ্রেফতার করা হয়।